ইমরান ইমন, নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাস পুরো পৃথিবীটাকে গ্রাস করে নিয়েছে। শুরু থেকেই এ ভাইরাসের অবস্থান, আকৃতি, প্রকৃতি ,জিনগত বৈশিষ্ট্য নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষকরা দিনরাত গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও
এ ভাইরাস নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা করে যাচ্ছেন।কেউ এর আকৃতি ও জিনগত বৈশিষ্ট্য,কেউ মানবদেহে এ ভাইরাসের অবস্থান ও এর প্রকোপ নির্ণয়ের ট্র্যাকিং অ্যাপস উদ্ভাবন নিয়ে নিরন্তর গবেষণা করে যাচ্ছেন।
পাশাপাশি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) করোনা সনাক্তকরন দলের সাথে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গবেষক দলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাস গবেষনায় নিয়োজিত আছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মাঝে একদল গবেষক।
গবেষক দলের শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন-
ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. অলক পাল। তিনি করোনা ভাইরাস নিয়ে জনসাধারনের সচেতনতার প্রকৃতি ও সচেতনতা কার্যকর করার বিভিন্ন পদ্ধতি উদ্ভাবন সংক্রান্ত গবেষণা প্রকল্প পরিচালনা করছেন।
করানো ভাইরাস কোভিড-১৯ এর জিনগত গঠনে বিভিন্ন রোগীর মধ্যে ভিন্নতা, বিষক্রিয়া সৃষ্টিকারী প্রোটিনের বিভিন্ন গঠন ও ভাইরাসটির উৎপত্তিগত বিশ্লেষণ বিষয়ে গবেষণা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আদনান মান্নান।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি বর্তমানে বিভিন্ন দেশ ও দেশের সংস্কৃতির মানুষকে কিভাবে প্রভাবিত করছে তা নিয়ে বাংলাদেশে সহযোগী হিসেবে আন্তর্জাতিক গবেষনায় কাজ করছেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক অলি আহমেদ পলাশ।
কোভিড-১৯ এর অবস্থান ও বিভিন্ন এলাকায় তার প্রকোপ নির্নয়ে কোভিড ট্র্যাকার অ্যাপস উদ্ভাবন করেছেন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ডঃ আরিফ ইফতেখার মাহমুদ।
এছাড়াও ড. আরিফ ইখতেখার মাহমুদ এবং ড. আদনান মান্নান বাংলাদেশ সরকারের পিপিই (স্বাস্থ্যসুরক্ষা পোষাক উদ্ভাবন এর মান নির্নয়) প্রকল্পে পরামর্শক হিসেবে সহায়তা করছেন। বিআইটিআইডিতে করোনা সনাক্তকরন দলের সাথে প্রত্যক্ষভাবে কাজ করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর গবেষক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সরকারের কোভিড-১৯ ডায়াগনস্টিক দলের সাথে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছেন জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের আরটি-পিসিআর প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত গবেষণা শিক্ষার্থীরা। এদের মধ্যে আছেন- আসমা সালাউদ্দিন, মোহাম্মদ ইমরান হোসেন, রক্তিম বড়ুয়া ও সৈয়দ লোকমান।
করোনা ভাইরাস গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে উপাচার্যের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হলে উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার ‘দৈনিক প্রত্যয়কে’ বলেন, “করোনা ভাইরাস বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় বেশ কয়েকটি গবেষণা প্রকল্প এ মুহুর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের গবেষকরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে এগিয়ে এসে এই পরিস্থিতির সঙ্গে প্রাসঙ্গিক কিছু গবেষণা প্রকল্প পরিচালনা করছেন। আমি এবং প্রক্টর মহোদয় এগুলো সার্বক্ষণিক তদারকি করছি। অতি শীঘ্রই আপনারা আমাদের গবেষণার সাফল্য দেখতে পাবেন”।